এরমধ্যেই আলোচনায় এসেছে ১২ বছর বয়সী এক শিশুর বাহাদুরি। বন্যার তোড়ের মধ্যে প্রাণ বাজি রেখে ব্রিজের ওপর আটকে পড়া একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পথ দেখিয়ে নদী পার হতে সাহায্য করেছিল ভেঙ্কাটেশ নামের ওই ছেলেটি।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বন্যায় ডুবে থাকা একটি ব্রিজের ওপর কোমরপানি ও প্রবল স্রোতের মধ্যে বারবার হোঁচট খেয়েও একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসছে ভেঙ্কাটেশ।
বার্তাসংস্থা এএনআই জানায়, বন্যার পানিতে চারদিক ডুবে থাকায় ব্রিজের কাছে এসে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। সেসময় এর মধ্যে ছয়টি শিশু ছিল। একারণে, ঝুঁকি সত্ত্বেও এলাকা পরিচিত হওয়ায় ভেঙ্কাটেশের সাহায্য চান অ্যাম্বুলেন্সের চালক। আর দেরি করেনি, সঙ্গে সঙ্গেই পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাহসী ছেলেটি। পানির মধ্যে বারবার হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাচ্ছিল সে। আশঙ্কা ছিল, বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ার। তবে, শেষপর্যন্ত সব ভয় ও শঙ্কাকে জয় করে নিরাপদেই নদীর অপর পাড়ে পৌঁছায় ভেঙ্কাটেশ ও অ্যাম্বুলেন্স।
এমন অনন্য সাহসিকতা ও উপকারিতার পুরস্কার পাচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেটি। ডিগ্রি পাস না করা পর্যন্ত তার পড়াশোনার সব খরচ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাইচুর শহরের পুলিশ সুপার সি বি ভেদামুর্থি।
পাশাপাশি, গত ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভেঙ্কাটেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
একে