গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়া পুলিশ এ কথা জানায় বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
নোরার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনসূত্র টেনে প্রদেশের পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ মাত ইউসুপ বলেন, ‘ক্ষুধার ফলে অন্ত্রনালীতে রক্তক্ষরণ’ ও ‘প্রচণ্ড মানসিক চাপে’ ভুগেছে নোরা।
‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো রকম অপরাধের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। জঙ্গলে থাকার ফলে তার শরীরে কিছু আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে, কিন্তু সেগুলো সন্দেহজনক নয়। তার বাবা-মা এখন মরদেহ নিয়ে যেতে পারেন। ’
মালয়েশিয়া পুলিশ এ ঘটনাকে নিখোঁজ মামলা বলে চিহ্নিত করেছে।
এদিকে এ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় নোরার পারিবারিক আইনজীবী চার্লস মোরেল বলেন, তাদের ধারণা নোরাকে অপহরণ করা হয়েছিল। তার মৃত্যুতে কোনো রকম অপরাধ-সংশ্লিষ্টতা নেই এত দ্রুত এমন দাবি করা চলে না। ময়নাতদন্তের সব তথ্য খতিয়ে দেখতে আরও অপেক্ষা করা দরকার বলেও জানান তিনি।
গত ৩ আগস্ট অবকাশ যাপনের উদ্দেশ্যে কুয়ালালামপুর সংলগ্ন দুসান রিসোর্টে ওঠে লন্ডনের বাসিন্দা নোরার পরিবার। সেখান থেকে পরেরদিন নিখোঁজ হয় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নোরা। পরে গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গভীর জঙ্গল থেকে নগ্ন অবস্থায় তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। শত শত উদ্ধারকর্মী, হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড দশ দিনব্যাপী ওই অভিযান পরিচালনা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এইচজে/এইচএ