শুক্রবার (১৬ আগস্ট) গভীর রাতে কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি ও লাউডন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কলকাতার এক বড় ব্যবসায়ীর ছেলেকে শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে প্রেফতার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেক্সপিয়র সরণি ধরে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের দিক থেকে কলামন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় জাগুয়ার গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে ওই মার্সিডিজকে। তখন সেখানে থাকা পথচারী কাজী মইনুল ও ফারহানা ইসলাম প্রায় পিষ্ট হয়ে যান। আহত হন সঙ্গে থাকা মইনুলের বন্ধু জিয়াদও। ভেঙে-চুরে যায় কংক্রিটের তৈরি কলকাতা পুলিশের একটি কিয়স্কও।
পুলিশ জানায়, বৃষ্টির মধ্যে তীব্র গতিতে জাগুয়ারটি গিয়ে ধাক্কা মারে মার্সিডিজের মাঝামাঝি জায়গায়। এ সংঘর্ষের সময় জাগুয়ারটি চাপায় পিষ্ট হন রাস্তার পাশে পুলিশ কিয়স্কের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পথচারীও। গুরুতর জখম দু’জনকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন সূত্র জানায়, চোখের চিকিৎসার জন্য ১৫ দিন আগে কলকাতায় এসেছিলেন মইনুল, তার সঙ্গে অন্য দু’জনও। মইনুল চোখ দেখিয়েছিলেনও শঙ্কর নেত্রালয়ে। তিনজনেই উঠেছিলেন মারক্যুই স্ট্রিটের ভিআইপি হোটেলে।
ঝিনাইদহের বাসিন্দা মইনুল একটি মোবাইল অপারেটরে চাকরি করতেন। আর কুষ্টিয়ার বাসিন্দা তানিয়া একটি ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে চাকরিরত ছিলেন।
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার রাতে পেট্রাপোল-বেনাপোল হয়ে দু’জনের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
ভিএস/এইচএ/