শনিবার (১৭ আগস্ট) এক লেখায় এ দাবি করেন ফোর্বসের মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রদায়ক এইচআই সাটন। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের বিশ্লেষণ থেকে তিনি এ দাবি করেন।
ওই লেখায় সাটন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ‘পসাইডন’কে পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত আন্তঃমহাদেশীয় সার্বভৌম টর্পেডো হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। ড্রোনসদৃশ অনন্য এ অস্ত্র একেবারেই নতুন প্রযুক্তির। একে যে কোনো দূরত্বে নিক্ষেপ করা সম্ভব। এটি ছুঁড়তে বিশাল ডুবোজাহাজ প্রয়োজন।
রাশিয়ার দাবি, পসাইডন সমুদ্রের এত গভীর দিয়ে যেতে সক্ষম যে, এটির সঙ্গে বাস্তবে পাল্লা দেওয়ার মতো আর কোনো অস্ত্র নেই।
এটি দুই টন ওজনের পরমাণু ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যা পরমাণু যুদ্ধকালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বা সান ফ্রান্সিসকোর মতো উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে সক্ষম।
এছাড়া এটি গুরুত্বপূর্ণ নৌস্থাপনা লক্ষ্য করেও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়।
সচরাচর ডুবোজাহাজগুলোতে ব্যবহৃত ভারী টর্পেডোগুলোর চেয়ে পসাইডন ৩০ গুণ ও ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর (এসএলবিএমএস) চেয়ে দুই গুণ বড়। বিশেষভাবে প্রস্তুত একটি ডুবোজাহাজ একসঙ্গে ছয়টি পসাইডন বহনে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী ডুবোজাহাজগুলো এসএসবিএন-জাতীয়। কিন্তু পসাইডোন বহনকারী ডুবোজাহাজ কী জাতীয় হবে বা এর নাম কী হবে তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
সাটন বলেন, মানুষজনের সূত্রে আমার প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে মনে হয়, রাশিয়া বর্তমানে সেভেরোদভিন্সক এলাকায় পসাইডন পরীক্ষা চালাচ্ছে। যে ডুবোজাহাজ থেকে এটি পরীক্ষা করা হচ্ছে, এর নাম- সারোভ। সারোভ একইসঙ্গে এই এলাকার একটি শহরেরও নাম। চলতি বছরের জুন মাস থেকে হোয়াইট সি এলাকায় এটি নিয়ে কাজ চলছে।
ফোর্বসের প্রদায়ক বলেন, ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চলমান এক বৈঠকে প্রথম রাশিয়া ওই টর্পেডো প্রকাশ্যে আনে। ২০১৪ সাল থেকে এটির পরীক্ষা চলছে। বলা হচ্ছে, ২০২০ সালে এটি উৎপাদন ও সমুদ্রে মোতায়েনের পর্যায়ে যাবে। এটি পুরোপুরি ব্যবহারযোগ্য হতে আরও কয়েক বছর লাগতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এইচজে/এইচএ