সোমবার (১৯ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রোববার (১৮ আগস্ট) ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভারী বর্ষণে দুই নেপালিয়ানসহ অন্তত ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
অন্যদিকে ভারী বর্ষণের কারণে হিমাচলের অনেক জেলারই যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সোমবার বন্ধ রয়েছে অনেক জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও।
ভারী বর্ষণে উত্তরাখন্ডে তিন জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ২২ জন। পাঞ্জাবে ভারী বর্ষণের ফলে বাড়ির ছাদ ধসে নিহত হয়েছেন তিনজন।
এদিকে চলমান ভারী বর্ষণ ও বন্যা পরিস্থিতিতে খাদ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের বেশ কিছু জেলায়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের কেরালায় বন্যায় নিহত বেড়ে ১২১ ও কর্ণাটকে নিহত বেড়ে ৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের চলমান দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার সদস্যরাও। বিভিন্ন স্থানে খোলা হয়েছে জরুরি সেবা কেন্দ্রও। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকার লোকদের উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রাখঅ হয়েছে।
২০১৯ সালেই ভারী বর্ষণ ও বন্যায় ভারতে নিহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশটির বিভিন্ন নদীতে পানি আরও বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কাই করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রাণহানির সংখ্যাও আরো বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এসএ/