রোববার (১৮ আগস্ট) ট্যাংকারটি সাগরে ভাসানো হয়। জিব্রাল্টার থেকে ‘গ্রেস-১’ এর বদলে ‘অ্যাদ্রিয়ানা দারিয়া-১’ নতুন নামকরণ নিয়ে পূর্ব দিকে ভূমধ্যসাগরের দিকে যাচ্ছে ট্যাংকারটি।
এর আগে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জিব্রাল্টারের ট্যাংকার মুক্তির ঘোষণা দেওয়ার পরও আবার আটকে রাখার জন্য পরোয়ানা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। যদিও মার্কিন বাধা সত্ত্বেও জিব্রাল্টার ট্যাংকার ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বসেছিল আগেই। এবার সে আদেশও প্রত্যাখ্যান করেছে অঞ্চলটি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, জিব্রাল্টারের ট্যাংকার আটকাদেশ প্রত্যাহারের একদিন পর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র শেষ মুহূর্তে আবার অনুরোধ জানায়। কিন্তু তা মানেনি জিব্রাল্টার।
জিব্রাল্টার বলছে, ওয়াশিংটনের নতুন আটকাদেশ জারি করার বিষয়টিও আমরা মানতে পারিনি, কারণ ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) প্রয়োগ হয়নি। এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোর একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা এটি।
তেহরান বলছে, অ্যাদ্রিয়ানা দারিয়া-১ ট্যাংকারে নৌ-রক্ষাকারী বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত ইরান।
এর আগে গত ০৪ জুলাই ২১ লাখ ব্যারেল তেল বহন করে নিয়ে যাওয়া ট্যাংকারটি জিব্রাল্টার প্রণালীতে আটক করেছিল ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ‘অবৈধভাবে’ সিরিয়ায় তেল পাঠানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ আনা হয় এ ট্যাংকারের বিরুদ্ধে। যা অস্বীকার করে তেহরান। পরে এর জেরে পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী থেকে ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার ‘স্টেনা ইমপেরো’ আটক করে ইরানের বিপ্লবী বাহিনী। সে সময় ট্যাংকারটির বিরুদ্ধে তেহরান ‘আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন’ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে।
তখন থেকে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এদিকে, নিজেদের বিচার বিভাগের আটকাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেউই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি এখনও।
আরও পড়ুন>> ইরানি ট্যাংকার আটকে রাখতে মার্কিন বিচার বিভাগের নির্দেশ
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এএটি/টিএ