‘বিয়েতে ভয়ানক আত্মঘাতী বোমা হামলায় আমার ভাইসহ ৬৩ জন আত্মীয়স্বজন হারিয়েছি। কোনো রকমে বেঁচে আছে আমার কনে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমার বিয়ে অনুষ্ঠানের অতিথিরাও বরাবরের মতোই খুব হাসিখুশি ছিলেন। কিন্তু কেবল কয়েক ঘণ্টা পরই তাদের মরদেহ দেখতে হলো আমরা। এটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের।
তিনি বলেন, আমার পরিবার, এমনকি কনে হতবাক। এমনকি তারা কথাও বলতে পারছে না। আমার কনে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে বারবার।
ইলমি বলেন, আশা হারিয়েছি আমি। আমার ভাই হারিয়েছি। বন্ধুদের হারিয়েছি। হারিয়েছি অনেক আত্মীয়স্বজন। আমার জীবনে আর কখনও সুখ আসবে না।
বর এও বলেন, আমি জানাজায় যেতে পারছি না। খুব দুর্বল বোধ করছি। এছাড়া আমি জানি যে, আফগানদের জন্য এটিই শেষ দুর্ভোগ হবে না। দুর্ভোগ অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, কনের বাবা জানিয়েছেন, এই হামলায় তার পরিবারের ১৪ জন মারা গেছেন; যারা না-কি ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও বিয়েতে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন।
এর আগে শনিবার (১৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেশটির রাজধানী কাবুলে একটি বিয়ে বাড়িতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬৩ জন নিহত হন। আহত হন ১৮০ জনেরও বেশি।
বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথি মোহাম্মদ ফারহাগ বলেন, বোমা বিস্ফোরণের সময় বিশেষ কাজে নারীদের হলঘরে ছিলাম আমি। পুরুষরা যে অংশে ছিল, সেখানে হঠাৎ বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে সবাই।
এদিকে, তালেবানদের দায় দিয়ে এই হামলাকে বর্বরোচিত বলে উল্লেখ করেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি।
দেশটিতে চলমান দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি আলোচনা চলছে। এরমধ্যেই একের পর এক হামলায় ওই আলোচনা কতোটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে এখন শঙ্কা।
আরও পড়ুন>> কাবুলে বিয়েবাড়িতে বোমা হামলায় নিহত ৬৩
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
টিএ