মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ওই মন্তব্যের জন্য মালয়েশিয়াবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন জাকির। কোনো রকম ‘সাম্প্রদায়িক’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি ওই মন্তব্য করেননি বলেও দাবি করেন।
আগস্টের প্রথমভাগে জাকির মন্তব্য করেন, মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের চেয়ে ‘একশ গুণ বেশি নাগরিক অধিকার’ ভোগ করেন। মালয়েশিয়ান চায়নিজদের সেদেশে অতিথি হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর পরপরই তার মন্তব্য ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে তুমুল বিতর্ক শুরু হয় মালয়েশিয়াজুড়ে। পরে জাতীয় নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় আগস্টের ১৫ তারিখ থেকে জনসমক্ষে জাকিরের বক্তৃতা নিষিদ্ধ করে স্থানীয় পুলিশ।
রোববার (১৮ আগস্ট) মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদও জাকির নায়েককে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তিনি ইসলাম প্রচারের সুযোগ পেতে পারেন, কিন্তু তাতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কথা বলতে পারেন না।
পরে মঙ্গলবার পুলিশ ওই মন্তব্যের জন্য জাকিরকে ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপরপরই বিবৃতির মাধ্যমে ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান ভারত থেকে নির্বাসিত জাকির।
বিবৃতিতে জাকির বলেন, ওই মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে তার সমালোচকেরা। তিনি মোটেও ‘সাম্প্রদায়িক মানসিকতা’র নন।
‘কোনো সম্প্রদায় বা ব্যক্তিকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে আমি ওই মন্তব্য করিনি। এটি ইসলামবিরোধী কাজ। আমার মন্তব্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হওয়ায় আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। ’
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগ রয়েছে ভারতের। এসব কারণে নিরাপত্তার খাতিরে বেশ কিছু দিন ধরে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দেশটির বেশ কিছু মন্ত্রী তার স্থায়ী বসবাসের অনুমতি বাতিল করার কথা তুলেছেন।
মালয়েশিয়ায় সম্প্রদায় ও ধর্ম খুবই সংবেদনশীল বিষয়। এখানকার অধিবাসীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ মুসলিম। বাকিদের বেশিরভাগই জাতিগতভাবে চীনা ও ভারতীয়, যাদের বেশিরভাগই আবার হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
এইচজে/এইচএ