বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ‘বাভার-৩৭৩’ নামে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস উপলক্ষে নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার উন্মোচন করা হয়েছে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়।
বাভার-৩৭৩ ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘রাশিয়ার এস-৩০০’ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিযোগী বলে অভিহিত করছে ইরান।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতামি বলেন, দূর-পাল্লার এ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে আমরা ৩০০ কিলোমিটারেরও অধিক দূরত্বে থাকা যুদ্ধবিমান বা লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত করতে পারি। একইসঙ্গে এটি ২০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা অবস্থায় লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
এদিকে, পশ্চিমা সামরিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন যে, ইরান প্রায়ই নিজেদের অস্ত্র সক্ষমতা নিয়ে সম্প্রসারণ করে।
যদিও দেশটির দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ে নানা মহলে উদ্বেগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মুখে অস্ত্র আমদানি করতে না পারলেও ইরান নিজেদের প্রযুক্তিতে দেশীয় অস্ত্রের বিশাল এক শিল্পখাত গড়ে তুলেছে।
মঙ্গলবারই (২০ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সতর্ক করে জানান, পরমাণু চুক্তির আওতায় ইরানের ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ২০২০ সালে শেষ হতে যাচ্ছে। এর পরবর্তী সময়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেই মূলত উদ্বেগ প্রকাশ করেন পম্পেও।
এর আগে জুনে দেশীয় প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেই ইরান উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। তেহরানের দাবি- ড্রোনটি সেসময় ইরানের ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছিল। যদিও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে, সেটি আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যেই অবস্থান করছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এইচজে/টিএ