আন্তর্জাতি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ভারত থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন দেখতে চাওয়া শত শত রাজনৈতিক নেতাকর্মী বর্তমানে গৃহবন্দি।
যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের ব্যানারে সব বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোর পক্ষে এসব পোস্টারে লেখা হয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে তরুণ, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষ- প্রত্যেকেরই পদযাত্রায় অংশ নেওয়া উচিত।
শ্রীনগরে জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক দলের কার্যালয় অভিমুখে এ পদযাত্রার আহ্বান জানানো হয়। ১৯৪৯ সালে ভারত-পাকিস্তানের প্রথম যুদ্ধের পর শ্রীনগরে এ কার্যালয় স্থাপন করা হয়।
একটি পোস্টারে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের মধ্য দিয়ে সরকার এ অঞ্চলে বহিরাগতদের অভিবাসন ঘটাতে চায়। যাতে করে এখানকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার অনুপাত বদলে ফেলা যায়। জুমার নামাজে খুতবার সময় এসব নিয়ে কথা বলার জন্য মসজিদের ইমামদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরে গত ৩০ বছরে বিভিন্ন বিক্ষোভ ও সহিংসতায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
বিশেষ মর্যাদা রদের ঘোষণার পর থেকে এ অঞ্চলে কার্যত ব্ল্যাকআউট চলছে। উপত্যকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় সেনা। সব ধরনের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপরও নানা সময়ে স্বতস্ফূর্ত বিক্ষোভ করছে এখানকার অধিবাসীরা।
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া শ্রীনগরের সাউরা অঞ্চলের এক অধিবাসী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, তারা শুক্রবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। একটি মসজিদের পাশে পোস্টার পড়তে থাকা এক মধ্যবয়সী পুরুষ এতে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমরা চেষ্টা করবো। মানুষ চেষ্টা করবে। কিন্তু আমরা জানি না যে, ওরা (ভারতীয় সেনা) আমাদের অংশ নিতে দেবে কি-না।
রয়টার্স জানায়, শ্রীনগরের জাইনাকাদাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার সব দোকান বন্ধ। সামান্য কিছু মানুষ এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওই বিক্ষোভের ব্যাপারে তখনও পর্যন্ত তারা কিছু জানে না বলে জানায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, আমাদের নেতারা যদি ডাকে, আমরা বেরিয়ে যাবো। প্রতিবাদ চলতেই থাকবে। আমাদের প্রতিবাদ থামবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এইচজে/টিএ