রোববার (২৫ আগস্ট) বিক্ষোভকারীরা ভারি বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় নামলে পুলিশ বাধা দেয়, তখনই এ সংঘর্ষ বাঁধে। অবশ্য এমন সংঘর্ষ শনিবারও (২৪ আগস্ট) হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আন্দোলনকারীরা যেন একত্রিত হতে না পারে সেজন্য মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ যানবাহন চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করে। কিন্তু এই কড়াকড়ি ডিঙিয়েই একটি স্টেডিয়ামে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। সেখান থেকে পরে সুয়েন ওয়ান জেলায় বিক্ষোভ র্যালি বের হয়।
খবরে বলা হয়, আন্দোলনকারীরা র্যালি বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন রাস্তা থেকে ইট নিয়ে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে ছুড়লে পুলিশও তাদের দিকে টিয়ারশেল ও জলকামান ছোড়ে। এতে আন্দোলনকারী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবিতে সংঘর্ষের পর শহরের রাস্তাজুড়ে ইট ও ছোট ছোট পাথরের টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে বেইজিং এ আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উসকানি দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করেছে। হংকংয়ে চীনের বিদেশ বিষয়ক দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে সম্প্রতি একটি বিবৃতিও দিয়েছে। এতে বলা হয়, এ ভূখণ্ডে (হংকং) যুক্তরাষ্ট্র উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদী উপাদান নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
বিচারের জন্য হংকংয়ের বাসিন্দাদের চীনের মূল ভূখণ্ডে পাঠানোর সুযোগ রেখে আইন সংশোধনের একটি বিতর্কিত বিলকে ঘিরে অঞ্চলটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। হংকংয়ের বেইজিংঘনিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ বিলটি পাসের পরিকল্পনা থেকে সরে এলেও থামেনি আন্দোলন। বিক্ষোভকারীরা আরও গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং বিক্ষোভে পুলিশের হামলার তদন্তের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এইচএডি/এইচএ/