রোববার (২৫ আগস্ট) ফ্রান্সের সমুদ্রতীরবর্তী শহর বিয়ারিজে ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ জি-৭ সদস্য দেশের নেতাদের অংশগ্রহণে চলতে থাকা সম্মেলনে অংশ নেন জারিফ। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এই জোটের বাকি দেশগুলো হলো স্বাগতিক ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, কানাডা ও জাপান।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, তেহরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের পরমাণু চুক্তি ভেস্তে যাওয়া এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউরোপের করণীয় ইত্যাদি নিয়ে সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে জারিফ ফ্রান্সে ছুটে যান।
সফর শেষে রোববার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তার গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
জারিফ লেখেন, আগামীর পথ অনেক কঠিন, কিন্তু চেষ্টা চালাতে হবে। বৈঠকে যুক্তরাজ্য ও জার্মানির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অঘোষিত এই সফরে চমকে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।
২০১৫ সালে বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের হওয়া পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর একতরফা বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, এরপর থেকে ইরানের ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে তারা। এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটে।
এক পর্যায়ে ইরানও চুক্তিতে থাকা বাকি দেশগুলো নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না অভিযোগ করে বিভিন্ন ধাপে চুক্তির শর্ত শিথিল করতে থাকে।
এই অবস্থায় জি-৭ সম্মেলন ঘিরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করলো ফ্রান্স। তারই অংশ হিসেবে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সম্মেলনকালে আমন্ত্রণ জানায় দেশটি। জারিফের এ সফর আসলে কতটা ফলপ্রসূ হলো তা সময়ই বলে দেবে।
এদিকে জি-৭ সম্মেলনে জারিফের এ উপস্থিতি নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র। ফ্রান্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সম্মতিক্রমেই ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জারিফ আকস্মিক উপস্থিত হন সম্মেলনে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এইচজে/এইচএ