সোমবার (২৬ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিও পোস্ট করে।
খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট অফিসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো আমাজনের আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইএনপিই) জানিয়েছে, এবছর ব্রাজিলে আগুন লাগার ঘটনা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। গত বছর এ সময়ে আগুন লেগেছিল ৪০ হাজারবারের মতো। এবার এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজারেরও বেশি, যার অর্ধেকই ঘটেছে আমাজন অঞ্চলে। স্যাটেলাইটের পাঠানো ছবিতেও ধরা পড়েছে বনের বিশাল অংশ উধাও হওয়ার চিত্র।
বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ অক্সিজেন তৈরি করে আমাজন। এ কারণে, এটিকে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ বলা হয়। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড জানিয়েছে, আমাজন যদি এভাবে জ্বলতেই থাকে, তাহলে একসময় সেটি উল্টো কার্বন নিঃসরণ শুরু করতে পারে।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন, কর্মী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা আমাজনের দাবানল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোকেও দায়ী করছেন অনেকেই।
উল্টো অভিযোগ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিশোধ নিতে ও তার সরকারকে বিপাকে ফেলতে পরিবেশবাদী এনজিওগুলোই আমাজনে আগুন লাগাতে পারে। তবে সেসময় এ বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি তিনি। পরে আরেক মন্তব্যে এ দাবানলের সঙ্গে স্থানীয় কৃষকরাও জড়িত থাকতে পারে বলে জানান জেইর বোলসোনারো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এইচএডি/