মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার নতুন এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ঊর্ধ্বতন এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা বিভাগের ওই কর্মকর্তা জানান, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে ইরান সম্ভবত রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক জঙ্গী বিমান ও ট্যাংক কিনবে। তবে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে ইরানের সামরিক শক্তিমত্তার প্রসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান এখন পর্যন্ত ১৯৭০ দশকের সোভিয়েত ট্যাংক ও পুরনো যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। তবে অন্য অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের চেয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে কম উন্নত হওয়া সত্ত্বেও গত কয়েক যুগে সামরিক দিক থেকে নানাভাবে বেশ উন্নত হয়েছে দেশটি। ড্রোন, মিসাইলসহ বিভিন্ন অস্ত্র তৈরিতে দ্রুত উন্নতি করছে তারা। এছাড়া বর্তমানে তেহরান মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারে বদ্ধ পরিকর।
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ইরান মার্কিন সেনাদল ও উপসাগরের জাহাজগুলোর ওপর নজর রাখতে বিশেষ ড্রোন ব্যবহার করে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশে হামলার লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহের জন্য সাইবারস্পেস সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে তেহরান।
পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে প্রবল অর্থনৈতিক চাপে আছে ইরান। ফলে, এ বছর সামরিক খাতে তাদের বাজেট কিছুটা কম ছিল। পরবর্তীতে তা আরও কমতে পারে। বেকারত্ব বাড়ায় এবং সঞ্চয় ও রিয়ালের (ইরানি মুদ্রা) মান কমায় বিভিন্ন সময় ইরানের জনগণকে বিক্ষোভ করতে দেখা যাচ্ছে। দেশটিতে এ মুহূর্তেও বিক্ষোভ চলছে। সব মিলিয়ে বাজেট সংকটের কারণে সামরিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তেহরানকে বেগ পেতে হবে। এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন বেসরকারি করপোরেশনের অর্থ ছাড়াও ইরান অবৈধভাবে সংগ্রহ করা অর্থ ব্যয় করে বলে দাবি করা হয় মার্কিন ওই প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এফএম/এইচজে