বুধবার (২০ নভেম্বর) দেশটির সরকারি এক বিজ্ঞপ্তির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
জানা যায়, মিয়ানমারের পক্ষে মামলা লড়তে ডিসেম্বরে নেদারল্যান্ডসের হেগে যাবেন সু কি।
এর আগে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা ৪৬ পাতার অভিযোগনামাকে ভিত্তিহীন দাবি করে মিয়ানমার। তাদের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যার অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করে দেশটি।
এর পরপরই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-নিপীড়নের কারণে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু কি’র বিরুদ্ধে মামলা করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। মামলায় তার পাশাপাশি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের বেশ ক’জন কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, আইসিজে’র কাছে সরাসরি গাম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার মামলায় বেশ চাপের মুখেই পড়েছে সু কি’র দেশ। ইতোমধ্যে মামলা লড়তে সু কি বিশ্বের খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
বার্তামাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একসময় যিনি ছিলেন গণতন্ত্রের প্রতীক (অং সান সু কি), ক্ষমতায় যাওয়ার পর তার দেশের বিরুদ্ধেই মানবতা লঙ্ঘন ও গণহত্যার অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ এবং আইসিজে।
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর নৃশংসতার পরেও রোহিঙ্গাদের ‘সন্ত্রাসী’ অভিহিত করায় বিশ্বনেতাদের নিন্দার মুখেও পড়েছেন সু কি। এমনকি সু কি’কে দেওয়া নোবেল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও উঠে সেসময়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর আইসিজের প্রধান দপ্তর হেগে গাম্বিয়ার করা মামলার গণশুনানিতে অংশ নিতে নিজদেশে তদন্ত দল গঠন করেছেন তিনি।
গত ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক আদালতে ৪৬ পৃষ্ঠার ওই অভিযোগপত্রে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, ধর্ষণ ও উচ্ছেদের অভিযোগ আনে গাম্বিয়া।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৬ সালের অক্টোবরে রোহিঙ্গা ‘নির্মূলে’ এক অভিযান চালায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এ অভিযানে তারা রোহিঙ্গা হত্যা, ধর্ষণসহ বিভিন্ন যৌন নিপীড়ন চালায়। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের বাড়িতে আটকে রেখে পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় দ্রুতই এ মামলায় রায় দিতে আইসিজেকে অনুরোধ করা হবে বলে জানিয়েছে গাম্বিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এমএএম/কেএসডি