আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, গত মাসে গ্রাফটন শহরে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে ঘর হারিয়েছেন মেলিন্ডা প্লেসম্যান ও তার সঙ্গী ডিন কেনেডি। এরপর থেকেই হোটেলে থাকতে হচ্ছে তাদের।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার (২ ডিসেম্বর) ক্যানবেরায় আন্দোলন শুরু করেন মেলিন্ডা।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, তিনি অস্ট্রেলীয় সংসদের সামনে তার পুড়ে যাওয়া ঘরের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে একটি ধাতব টুকরোয় লেখা, ‘মরিসন, তোমার জলবায়ু সংকট আমার বাড়ি ধ্বংস করেছে। ’
গত মাসে দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ড রাজ্যে দাবানলের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। জীবন বাঁচাতে ঘর ছাড়তে হয় হাজার হাজার মানুষকে।
সে সময় দাবানল ও জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছিলেন, আজ আমার একমাত্র ভাবনা যারা প্রাণ হারিয়েছে পরিবার হারিয়েছে, তাদের জন্য।
মরিসনের এমন বক্তব্যে ক্ষোভপ্রকাশ করে মেলিন্ডা বলেন, আমি ঘর হারিয়েছি, জীবনধারণের পথ হারিয়েছি। গোটা সম্প্রদায় এসব হারিয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী বলছেন তিনি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে চান না, এটা বলার সময় নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি ভুক্তভোগীদের জন্য প্রার্থনা করছেন। আমি এতে খুবই দুঃখিত ও রাগান্বিত। কারণ আমাদের এরচেয়েও বেশি কিছু দরকার।
দাবানলে ভুক্তভোগী এই নারী ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিরোধী দল লেবার পার্টির ওপরও। এসব বিষয়ে বিরোধীরা উল্লেখযোগ্য কিছু করছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল এখনো শেষ হয়নি। সোমবার পশ্চিম দিক থেকে বাতাসে ভেসে আসা ধোঁয়ায় ঢেকে ছিল গোটা সিডনি শহর। সেখানকার স্থানীয়দের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত জুলাই থেকে এ পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলসের অন্তত ২০ লাখ হেক্টর ভূমি আগুন পুড়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
একে