ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস

বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তাল ভারতে আরও উত্তাপ ছড়াতে এবার ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।

দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, কৃষকদের দুর্দশা ও কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছে দেশটির বিরোধী দল।

শনিবার রাজধানী দিল্লিতে এই সমাবেশে অংশ নেবেন সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধীসহ দলের শীর্ষ নেতারা।

 

কংগ্রেসের বিদেশের শাখাগুলিও বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশে যোগ দেবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  

গত বৃহস্পতিবার ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল পাস হয়। পরে রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সই করায় তা আইনে পরিণত হয়ে গেছে।  

বিতর্কিত এই আইনের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ভারতে স্থায়ীভাবে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্য এই আইন করেছে বলে সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। তাছাড়া এই আইনের ফলে সংখ্যালঘু মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে সবচেয়ে বেশি।  

দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্য এরইমধ্যে জানিয়েছে, তারা এ আইন মানবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষা থেকে বলা হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যই কেন্দ্রের আইন মানতে বাধ্য।  

ভারতে নয়া নাগরিকত্ব আইনকে বৈষম্যমূলক হিসেবে বর্ণনা করে তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।

ওই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনটি মৌলিক চরিত্রের দিক দিয়েই বৈষম্যমূলক এবং এ বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা জানি যে এই আইনের বৈধতা ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং আমাদের আশা মানবাধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনে ভারতের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে আদালত তা বিবেচনায় নিয়ে নাগরিকত্ব আইনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ”

অন্যদিকে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। মোদি সরকার বিষয়টি স্বীকার করতে না চাইলেও দেশটির বিশ্লেষকরা অর্থনৈতিক দুরাবস্থার দৃশ্য তুলে ধরছেন।  

এছাড়া দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যাও।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।