শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিজেপি নেতা বলেন, এর আগে তিনি (মমতা) ৩৭০ ধারা বাতিল, নোট বাতিলেরও বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকারকে তা কার্যকর করা ঠেকাতে পারেননি।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গই হবে নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়া প্রথম রাজ্য। মমতা বা তার দল এটা ঠেকাতে পারবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন তা পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি প্রধান বলেন, তিনি কি রাজ্যে তার ভোটব্যাংক হারানোর ভয় পাচ্ছেন? তিনি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু যে হিন্দু শরণার্থীরা কয়েক দশক ধরে এই আইনের দিকে তাকিয়ে আছে, তাদের কথা ভাবছেন না।
এর আগে, যেকোনো মূল্যে পশ্চিমবঙ্গে নতুন নাগরিকত্ব আইন চালু ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ ও মিছিল। বীরভূমের মুরারই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও লাইনে টায়ার জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবারও বিক্ষোভে উত্তাল ছিল পশ্চিমবঙ্গ, চলছে শনিবারও। জেলায় জেলায় রেল-সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। ভাঙচুর করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বিক্ষোভ দমনে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে বরং মমতার বিরুদ্ধে এতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি।
গত বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের অনুমোদন দেন প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ। এর আগে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয় বিতর্কিত এই প্রস্তাব।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুসারে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
একে