শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আর্থিক অনিয়মের দায়ে এক মামলায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
রায় ঘোষণার সময় ওমর আল-বশির ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে আদালতের কাঠগড়ায় নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলেন।
শনিবারের মামলায় ক্ষমতাচ্যুতির পর গ্রেপ্তারের সময় তার ঘর থেকে পাওয়া ১৩ কোটি মার্কিন ডলার (এক হাজার ১০৪ কোটি টাকা) সমমূল্যের সুদানি পাউন্ড ও ইউরোর উৎস বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল।
১৯৮৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দীর্ঘ ত্রিশ বছর সুদান শাসন করেন সাবেক এ সামরিক শাসক।
এপ্রিলে গণবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাকে বর্তমানে রাজধানী খার্তুমের কোবার কারাগারে রাখা হয়েছে।
সুদানের সাবেক এ প্রেসিডেন্টের আইনজীবী জানান, এ সপ্তাহে তাকে ১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থান ও এ বছরের শুরুতে বিক্ষোভকারীদের হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞেস করার জন্য অপর মামলায় আদালতে শুনানির জন্য ডাকা হবে।
সুদানের দারফুর অঞ্চলে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ২০০৯ সালে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অর্থনৈতিক সংস্কার ও গণতন্ত্রের দাবিতে সুদানে বিক্ষোভ শুরু হয়। অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে দেশটির সেনাবাহিনী ১১ এপ্রিল সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করে গ্রেফতার করে।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক এ স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে বর্তমানে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও হত্যার অভিযোগে আদালতে বিভিন্ন মামলার শুনানি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এবি