রোববার (১৫ ডিসেম্বর) নয়া দিল্লিতে অবস্থিত দূতাবাস থেকে সব আমিরাতি নাগরিকদের ভারত ভ্রমণে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন এবং যেসব এলাকায় সহিংসতা চলছে সেগুলো পরিহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ভারত ভ্রমণে একই ধরনের সতর্কতা জারি করেছে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা।
প্রসঙ্গত, বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ। পশ্চিমবঙ্গে চলছে চারদিন ধরে, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে আন্দোলনে যোগ দিয়েছে অন্য রাজ্যের ছাত্ররাও।
ওইদিন দিল্লিতে পুলিশ ও জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর উত্তর প্রদেশে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও (এএমইউ) পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া হায়দ্রাবাদের মাওলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়, দ্য বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইটি বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করেছেন। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিল্লিতে পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে রাতভর অবস্থান করেছেন।
সোমবারও (১৬ ডিসেম্বর) রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এদিন বিক্ষোভ হয়েছে লক্ষ্নৌর নাদওয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও। সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাইরে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ভেতর থেকেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল-জুতা নিক্ষেপ করেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
একে