বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিনিধি নিকোলাই ম্লাদেনভ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় এ তথ্য জানান বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম খবর জানায়।
নিকোলাই ম্লাদেনভ বলেন, ২০১৬ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের নিন্দা জানিয়ে এক প্রস্তাব গ্রহণের পর নতুন এ বসতিগুলো নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন ও বাস্তবায়িত হয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতরেস এসময় তার বক্তব্যে জানান, ইসরায়েলের উচিত অবিলম্বে ও সম্পূর্ণভাবে বসতি নির্মাণের এ পরিকল্পনা থেকে সরে আসা।
তিনি বলেন, ‘বসতির (ইসরায়েলি) এ অস্তিত্ব ও সম্প্রসারণ ফিলিস্তিনি জনগনের মধ্যে অসন্তোষ ও হতাশার জন্ম দেবে এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনাকে বাড়িয়ে তুলবে। ’
অ্যান্তোনিও গুতরেস বলেন, ১৮ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বেসামরিক বসতি সম্প্রসারণের বিষয়টিকে আর অবৈধ হিসেবে বিবেচনা না করার সিদ্ধান্তের ঘোষণায় তিনি মর্মাহত।
এ অঞ্চলের সংকট সমাধানে এ সিদ্ধান্ত বাধা দেবে বলে জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনের সময় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণের বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক অধিবেশনে নিন্দা প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের ব্যতিক্রম করে এতে ভেটো দেওয়া থেকে বিরত থাকে।
নিন্দা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন প্রকাশের অধিবেশনে জাতিসংঘে মার্কিন প্রতিনিধি কেলি ক্রাফট বলেন, নিন্দা প্রস্তাবটি এক পাক্ষিক। এতে ইসরায়েলের অমূলক সমালোচনা করা হয়েছে।
প্রস্তাবটি অনুমোদনের সময় তিনি জাতিসংঘে প্রতিনিধি থাকলে এতে ভেটো দিতেন বলে জানান কেলি ক্রাফট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এবি