শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গ্রেফতার ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ বিশ্বাস। তিনি তালতলা থানা পুলিশের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত।
জানা যায়, ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন (৪৮) বাংলাদেশের গাইবান্ধার বাসিন্দা। তিনি মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন কোলন ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য। গত ২০ নভেম্বর রাতে তিনি কলকাতায় ফিরে মির্জা গালিব স্ট্রিটের একটি হোটেলে ওঠেন। পরের দিন ভোরে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠার পরিকল্পনা ছিল তার।
মোশারফের অভিযোগ, ঘটনার দিন আত্মীয় গোলাম সাকলাইনকে নিয়ে ট্যাক্সিতে শিয়ালদহ যাচ্ছিলেন তিনি। মৌলালি মোড়ের কাছে পৌঁছালে এক পুলিশ সদস্য তাদের ট্যাক্সি দাঁড় করান ও পরিচয় জানতে চান। বাংলাদেশি নাগরিক শুনেই ওই পুলিশ সদস্য তাদের পাসপোর্ট ও সঙ্গে থাকা ২৭ হাজার টাকা কেড়ে নেন। এসময় তিনি মোশারফ ও সাকলাইনকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখান, এমনকি মেরে ফেলারও হুমকি দেন।
পরে অনেক অনুনয়-বিনয় করলে ওই পুলিশ সাত হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকি ২০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে কোনো অভিযোগ করেননি মোশারফ। পরে ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মা ও যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মাকে ইমেইলে অভিযোগ জানান তিনি।
এ ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। পরীক্ষা করা হয় ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। ওই দিন মৌলালি মোড়ে ডিউটিতে কোন কোন পুলিশ সদস্য ছিলেন তার তালিকা করা হয়। সেখান থেকেই চিহ্নিত করা হয় পুলিশের গাড়িচালক বিশ্বনাথকে।
খবরে বলা হয়, বিশ্বনাথ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৬ ধারায় ছিনতাইয়ের মামলা করেছে পুলিশ। শুক্রবারই তাকে আদালতে তোলা হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ ঘটনার আর কেউ জড়িত আছেন কি-না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
একে