শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানী সিডনির পশ্চিমাঞ্চলের এক গ্রামে আগুন নেভাতে গিয়ে এক দুর্ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবী দমকল বাহিনীর দুই কর্মী নিহত হয়েছেন।
দেশের এ দুর্যোগপূর্ণ সময়ে হাওয়াইতে সপরিবারে ছুটি কাটাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মরিসন। এ ঘটনার পর ছুটি সংক্ষিপ্ত করেন তিনি। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।
এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে ক্ষমা চেয়ে মরিসন বলেন, ভয়াবহ দাবানলে অস্ট্রেলীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন সময় সপরিবারে ছুটি কাটাতে যাওয়ায় আমি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানল ও নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট আইল্যান্ডের অগ্ন্যুৎপাতে ক্ষতিগ্রস্ত অস্ট্রেলীয়দের ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজখবর রেখেছি আমি।
নিহত দুই দমকলকর্মীর কথা উল্লেখ করে মরিসন বলেন, তারা সাহসিকতার সঙ্গে নিজেদের সম্প্রদায় রক্ষার কাজ করছিলেন। এ সাহসিকতার কোনো তুলনা হয় না। সবচেয়ে নির্ভীক অস্ট্রেলীয়দের মধ্যে তারা চিরদিন থাকবেন। মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তাদের সেবা ও আত্মত্যাগ চিরকাল মনে রাখবে অস্ট্রেলিয়া।
দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রায় একশ’ স্থানে জ্বলছে দাবানল। প্রায় দু’মাস ধরে দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। দাবানলে এখন পর্যন্ত পুড়ে গেছে দেশটির কয়েক লাখ একর জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যপ্রাণীরা। এছাড়া, ধ্বংস হয়ে গেছে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি, মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের। ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে রাজধানী সিডনিসহ কয়েকটি শহরের আকাশ।
এছাড়া, সর্বাধিক তাপমাত্রায় জ্বলছে অস্ট্রেলিয়া। তাপদাহের কারণে দাবানল পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে বলে বৃহস্পতিবার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে সাত দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দাবানলের সূত্রপাত হওয়ার পর এ রাজ্যে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা জারি হলো।
এ দাবানল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মরিসন সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এফএম