রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ইয়েমেনের সরকারের নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
হামলা দায়িত্ব স্বীকার করে কোনো গোষ্ঠীর কাছ থেকে বিবৃতি না এলেও সরকারের নিরাপত্তা সূত্র হামলার জন্য হুথি বিদ্রোহীদের দায়ি করছে।
একইসঙ্গে এ হামলায় ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে নিরাপত্তা সূত্র জানায়।
সরকারের নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ইয়েমেনের সরকার সমর্থিত সিকিউরিটি বেল্ট ফোর্সের কুচকাওয়াজ শেষ হওয়ার পরপরই এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানায়, কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের জন্য অতিথিদের জন্য তৈরি মঞ্চের কাছে এ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে।
এর আগে আগস্টে ইয়েমেনের বন্দর নগরী এডেনে এক সামরিক কুচকাওয়াজে হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ৩৬ জন নিহত হয়।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে ইয়েমেনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এক পর্যায়ে ইয়েমেনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ সরকারের পতন হয়। কিন্তু ক্রমাগত রাজনৈতিক অস্থিরতার এক পর্যায়ে ২০১৪ সালে ইয়েমেনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মানসুর হাদির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজধানী সানা দখল করে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা। ২০১৫ সালে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বের সামরিক জোট হুথিদের হটিয়ে হাদির সরকারকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে ইয়েমেনে আগ্রাসন চালালে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কবলে পড়ে দেশটি।
প্রায় পাঁচ বছরের এ যুদ্ধে ১০ লাখের বেশি লোক নিহত এবং ৩১ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়। যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে ৮৪ হাজারের বেশি শিশু প্রাণ হারায় বলে আন্তর্জাতিক শিশু বিষয়ক সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এবি