স্থানীয় সময় রোববার (৫ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, এখন থেকে পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি, উপকরণ সমৃদ্ধকরণ বা গবেষণার ও উন্নতির ক্ষেত্রে আর কোনও সীমাবদ্ধতা রাখবে না ইরান।
আরও পড়ুন: বিদেশি সৈন্য হটাতে ইরাকি পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
২০১৫ সালে ৬ দেশের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী ইরান তাদের স্পর্শকাতর পরমাণু কার্যক্রম সীমিত রাখতে সম্মত হয়েছিল। তবে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি একাধিকবার ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করে ইরান।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেমানিকে হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত করে পেন্টাগন।
এরই মধ্যে সোলেমানি হত্যায় ক্ষুব্ধ ইরানের জেনারেল গোলাম আলি আবু হামজাহ হরমুজ প্রণালীতে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার বাহিনী ডেস্ট্রয়ার ও যুদ্ধজাহাজসহ পারস্য উপসাগর ও ইজরায়েলের নিকটবর্তী প্রায় ৩৫টি মার্কিন স্থাপনার দিকে তাক করে আছে বলে জানান তিনি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি স্থাপনা চিহ্নিত করেছে, যা অত্যন্ত উচ্চপর্যায়ের এবং ইরানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যদি তেহরান আক্রমণ করে তাহলে ওইসব স্থাপনা এবং ইরান নিজেও অত্যন্ত দ্রুত ও কঠিন আঘাতের শিকার হবে। যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো হুমকি চায় না।
১৯৭৯ সালের দিকে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে প্রায় একবছর জিম্মি করে রাখার প্রতীক হিসেবে ইরানের ৫২টি স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ টুইটের কিছুক্ষণ পরেই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ‘ইরান সাইবার সিকিউরিটি গ্রুপ হ্যাকার্স’। একইদিন ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস ও সালাহউদ্দিন প্রদেশের মার্কিন বিমানঘাঁটিতে একযোগে পাঁচটি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইরাক থেকে সব বিদেশি সৈন্য ছেড়ে যেতে রোববার একটি রেজ্যুলেশন পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। বিদেশি সৈন্যরা যাতে ইরাকের আকাশ, স্থল এবং জলসীমা ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বলা হয় ওই প্রস্তাবে।
২০০৩ সালে ইরাক আগ্রাসনের পর থেকে দেশটিতে ঘাঁটি গেড়ে আছে হাজার হাজার মার্কিন সৈন্য। ইরাকে বর্তমানে আমেরিকার প্রায় ৫ হাজার সৈন্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
পিএম/এসএইচ