রোববার (৬ জানুয়ারি) ইরানের সেনানায়ক কাসেম সোলেমানিকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন হিজবুল্লাহ প্রধান।
নাসরুল্লাহ বলেন, কাসেম সোলেমানির হত্যার বদলা নেওয়ার দায় কেবল ইরানের নয়, তাদের মিত্রদের ওপরেও বর্তায়।
‘যখন কফিনে করে মার্কিন সেনা ও কর্মকর্তাদের লাশ আমেরিকায় পৌঁছাবে, তখন ট্রাম্প ও তার প্রশাসন অনুধাবন করতে পারবে যে, সত্যিই মধ্যপ্রাচ্য বেহাত হয়ে গেছে, আর (২০২০ সালের) নির্বাচনেও তাদের ভরাডুবি হবে। ’
১৯৮২ সালে ইরানের বিপ্লবী গার্ড প্রতিরক্ষা বাহিনী লেবাননে শিয়াপন্থি হিজবুল্লাহকে সংগঠিত করে। তারপর থেকেই এ গোষ্ঠী আমেরিকা ও ইরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে।
১৯৮৩ সালে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে লেবাননের বৈরুতে মার্কিন সামুদ্রিক সদর দফতর ধ্বংস করে হিজবুল্লাহ। ওই হামলায় ২৪১ কর্মকর্তা নিহত হন। একই বছর মার্কিন দূতাবাসেও আত্মঘাতী হামলা চালায় তারা। পরে ওই বছরই লেবানন থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়।
সেসব হামলার প্রসঙ্গ টেনে নাসরুল্লাহ বলেন, পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সম্ভাব্য আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সংখ্যা এখন বেশি। সোলেমানি ও অন্যদের হত্যার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। এ অঞ্চলে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের ওপর আমাদের হামলা তাদের পূর্বের মতোই বিভীষিকা পৌঁছে দেবে। অপদস্থ আর পরাজিত হয়ে সরে যেতে বাধ্য হবে তারা। আমাদের অবশ্যই বদলা নিতে হবে।
তবে মার্কিন সেনা-কর্মকর্তাদের ওপর বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি জানালেও, সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের ওপর কোনোভাবেই হামলা চালানো যাবে না বলে সতর্ক করেন নাসরুল্লাহ। তিনি বলেন, মার্কিন সেনারাই সোলেমানি ও অন্যদের হত্যা করেছে। ফলে এর দাম শোধ করবে কেবল তারাই। মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে কোনো সাধারণ মার্কিন নাগরিককে স্পর্শও করা যাবে না। তাহলে তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এইচজে