সোমবার (০৬ জানুয়ারি) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এ অঙ্গীকারের কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা শপথ করছি, শহীদ সোলেমানির পথে আমাদের যাত্রা আল্লাহর সাহায্য নিয়ে সর্বশক্তিতে অব্যাহত রাখবো এবং তার শাহাদাতের বদলায় আমেরিকাকে আমরা এ অঞ্চল থেকে বের করে দেবো।
ইসমাইল কাআনি বলেন, আল্লাহই আসল প্রতিশোধ গ্রহণকারী। যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের বিশেষ কুদস ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানি। তার মৃত্যুতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী কুদস ফোর্সের উপ-অধিনায়ক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কাআনিকে নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেন।
কাসেম সোলেমানির হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরান যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলার কঠিন প্রতিশোধের অঙ্গীকার করেছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার টুইটবার্তায় হুমকি দিয়েছে, ইরান হামলার চেষ্টা করলে মার্কিন বাহিনীর হাতে থাকা আধুনিক উন্নতমানের অস্ত্র দিয়ে ইরানের ৫২টি লক্ষ্যবস্তুতে দ্রুত ও কঠোর হামলা করা হবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সোমবার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাসেম সোলেমানির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর ইমামতিতে এ জানাজায় লাখ লাখ ইরানি অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) কাসেম সোলেমানির জন্মস্থান কেরমান প্রদেশে শেষ জানাজার পর তাকে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এবি