সোমবার (৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
ইরাকে জয়েন্ট ফোর্সের ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল আমিরের কাছে আলোচিত চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন ফোর্সের প্রধান উইলিয়াম এইচ সিলি।
এতে বলা হয়েছিল, ইরাকের সার্বভৌমত্ব, পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে কম্বাইন্ড জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স আগামীতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাহিনীর অবস্থান নতুন করে সাজানো হবে। ইরাকের বাইরে নিরাপদে যাওয়ার জন্য এয়ার ট্রাফিক বাড়ানোসহ কিছু পদক্ষেপ ‘ডার্কনেস আওয়ারে’ করা হবে। এছাড়া বাগদাদে নতুন কোয়ালিশন ফোর্স আনার খবরও ভুল বলে জানানো হয় এ চিঠিতে।
এর আগে গত রোববার সব বিদেশি সেনার ইরাক ছাড়ার বিষয়ে একটি রেজ্যুলেশন পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার তিনদিন পর ইরাকের পার্লামেন্টে এ প্রস্তাব ওঠে।
২০০৩ সালে ইরাক আগ্রাসনের পর থেকে দেশটিতে ঘাঁটি গেড়ে আছে হাজার হাজার মার্কিন সেনা। সেখানে এখন প্রায় পাঁচ হাজার সেনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
গত ২ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল হামলায় নিহত হন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি ও ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির উপ-প্রধান মাহদি আল মুহান্দিসসহ ১০ জন।
ইরানিরা এই হত্যাকাণ্ডের কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। মিত্রদেশ ইরাক, সিরিয়া, লেবাননও এতে সহযোগিতা করবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এএটি/একে