মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার রুমে হামলা চালায় বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শনিবার সকালে হঠাৎ সার্ভার অকেজো দেখতে পান তারা।
গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরতরাই এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছে প্রশাসন। তারা সেমিস্টারের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতেই সার্ভার রুমে হামলা চালায় বলে দাবি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গত শনিবার থানায় অভিযোগ করা হয়। এতে ঐশি ঘোষসহ কয়েক শিক্ষার্থীর নামে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয়। তবে শুক্রবারও (৩ জানুয়ারি) থানায় আরেকটি অভিযোগ করা হয়েছিল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এতে কতজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা জানা না গেলেও এটিও যে ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তা নিশ্চিত।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রায় অর্ধশত ছাত্র-শিক্ষক আহত হন। এ ঘটনায় ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সমর্থিত এবিভিপি’কে দায়ী করেছেন অনেকে। হামলার সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকে তাদের সহযোগিতা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার পরপরই বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গোটা ভারত। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুম্বাইয়ের শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভ হচ্ছে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে।
জেএনইউ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে হামলার সময় নীরব দর্শক হয়ে ছিলেন। এমনকি হামলার পর মুখোশধারীদের পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।
এ ঘটনায় দিল্লিতে পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরেও বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
একে