মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সালভাদর প্যানেলোর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, গৃহপরিচারিকা, নির্মাণ শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার ও নার্স হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিপিনো।
‘দীর্ঘ যুদ্ধের’ সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন দুতের্তে সাংবাদিকদের বলেন, ফিলিপিনোদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তেহরান ও বাগদাদে বিশেষ দূত পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অনেক ফিলিপিনো মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছেন। আমি এ নিয়ে চিন্তিত। মনে হচ্ছে, যে করেই হোক প্রতিশোধ নেবে ইরান।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ইরাকে প্রায় সাত হাজার এবং ইরানে প্রায় এক হাজার ফিলিপিনো কাজ করছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেলফিন লরেঞ্জানা জানান, তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ইরাক এবং ইরানে প্লেন ও ফেরি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে গঠিত কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন লরেঞ্জানা।
২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত ফিলিপিনোরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন পাঁচ দশমিক চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ওই বছর দেশটির মোট রেমিট্যান্সের পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করা হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এফএম