শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেমানিকে হত্যার কারণ হিসেবে আমেরিকা বারবার তাদের স্বার্থে ইরানের হামলা পরিকল্পনার দোহাই দিয়ে চলেছে। কিন্তু ঠিক কী সে কারণ, তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করতে পারেনি তারা।
ইরান আসলে কোন মার্কিন স্বার্থে হামলার পরিকল্পনা করছিল, এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট জবাব চাইলে ট্রাম্প বলেন, আমি বলতে চাই যে, আমার ধারণা ইরান চারটি মার্কিন দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছিল।
‘আমরা বলবো, সম্ভবত বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস হামলার শিকার হতে যাচ্ছিল। ’
২ জানুয়ারি রাতে ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোনের গুপ্তহামলায় নিহত হন কাসেম সোলেমানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেমানিকে হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত করে পেন্টাগন।
সোলেমানিকে হত্যার সিদ্ধান্তকে ‘উস্কানিমূলক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ অভিহিত করে ডেমোক্রেটিক ও মার্কিন বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের ওপর একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন। কাউকে অবগত না করে ট্রাম্প একাই সোলেমানি হত্যার ওই নির্দেশ দেন। এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত এক যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
সার্বিক প্রেক্ষাপটে শুক্রবার ট্রাম্পের ‘যুদ্ধ ক্ষমতা সীমিত’ করার লক্ষ্যে একটি বিল পাস করে মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। এতে করে কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শ না করে ইরান বা কারও বিরুদ্ধে সামরিক কার্যক্রম চালাতে পারবেন না ট্রাম্প। যদিও এটি অনেকটাই প্রতীকী। তবে ডেমোক্র্যাটদের দাবি এ বিলের ক্ষমতা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
এইচজে