ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের আশঙ্কা ছবি: সংগৃহীত

করোনা ভাইরাস মহামারিতে রোগ ও মৃত্যুতে বিপর্যস্ত মানুষ বিচ্ছিন্নতা, দারিদ্র্য ও উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে মানসিক রোগ সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডেভোরা কেস্টেল বলেন, ‘আইসোলেশন, ভয়, অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক সমস্যা- এসবের কারণে মানসিক অসুস্থতা সৃষ্টি হতে পারে। ’

কোভিড-১৯ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে জাতিসংঘের নির্দেশনা ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করার সময় এ কথা বলেন তিনি।

কেস্টেল জানান, মানসিক অসুস্থতার সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং সরকারের উচিত এ সংকটকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে কেস্টেল বলেন, ‘গোটা সমাজের মানসিক স্বাস্থ্য ও কল্যাণের ওপর এ মহামারির গুরুতর প্রভাব পড়েছে এবং জরুরি ভিত্তিতে এটি মোকাবিলা করতে হবে। ’

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাজের বেশ কিছু শ্রেণি ও বিভাগ মানসিক অসুস্থতার বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। যেমন- বন্ধু ও স্কুল থেকে দূরে বিচ্ছিন্ন শিশু-কিশোররা এবং হাজার হাজার মানুষকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে ও মারা যেতে দেখা স্বাস্থ্যকর্মীরা।

নতুন বেশ কিছু গবেষণা ও জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে। মনোবিজ্ঞানীরা জানান, ইতোমধ্যে শিশুরা উদ্বিগ্ন এবং বিভিন্ন দেশে বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের রোগী বাড়ছে।

গৃহ নির্যাতন বাড়ছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক ও নার্সদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে রয়টার্স জানায়, স্বাস্থ্যকর্মীরা আতঙ্ক, উদ্বেগ, শোক, অসাড়তা, বিরক্তি, অনিদ্রা ও দুঃস্বপ্নে ভুগছেন।

স্বাস্থ্যখাত ছাড়াও শারীরিক দূরত্ব ও বিচ্ছিন্নতার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে। অনেকেই সংক্রমণ, মৃত্যু ও প্রিয় মানুষদের হারানোর দুশ্চিন্তায় আতঙ্কগ্রস্ত।

শুধু জীবন নয়, মহামারির কারণে হুমকির মুখে জীবিকা। অনেকেই তাদের চাকরি হারিয়েছেন। ব্যবসা হারিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তার অনিশ্চয়তায় তারা উদ্বিগ্ন ও হতাশ।

আইনপ্রণেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়, কোটি কোটি মানুষের দুর্ভোগ এবং দীর্ঘকালীন সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রশমন করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য হতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।