যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ঢুকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সশস্ত্র সমর্থকদের সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিগত ২০৬ বছরেও এমন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
‘ওয়ার অব ১৮১২’ নামে পরিচিতি যুক্তরাষ্ট্র ও তার বন্ধুদের সঙ্গে ব্রিটিশ বাহিনীর ওই যুদ্ধ শুরু হয় ১৮১২ সালের জুনে; শেষ হয় ১৮১৫ সালে। ওই যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ বাহিনী হামলা করেছিল। ইউএস ক্যাপিটল হিস্ট্রি সোসাইটির বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
ক্যাপিটল ভবনে হামলার ওই ঘটনার ২০৬ বছর পর ২০২১ সালের শুরুতেই এমন সহিংস ঘটনার জন্ম দিল মার্কিনিরা। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সেই সঙ্গে দেশটির দুই প্রধান দলের একাধিক শীর্ষ ব্যক্তি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
বিশ্বনেতারাও এর সমালোচনা করেছেন, করছেন। কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে যখন নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা এমন হামলা চালালো। এর আগে জর্জিয়ায় সিনেট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির দুই প্রার্থী হেরে যান।
এর আগে ১৮১৪ সালের আগস্টে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল স্যার আলেকজান্ডার কুকবার্ন এবং মেজর জেনারেল রবার্ট রসের নেতৃত্বে নির্মাণাধীন ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে ওই সময় বৃষ্টি হওয়ায় আগুনে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ওই সময় যুক্তরাজ্যের উপনিবেশের অধীনে ছিল কানাডা। আর আপার কানাডার রাজধানী ইয়র্কে মার্কিন হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিশোধ নিতেই ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ বাহিনী এ হামলা চালায়।
ব্রিটিশ বাহিনী তখন শুধু ক্যাপিটল ভবন নয়, হোয়াইট হাউসসহ ওয়াশিংটন ডিসির বিভিন্ন জায়গায়ও হামলা চালায়।
তবে ট্রাম্প–সমর্থকদের এবারের হামলা কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে হয়নি। তাই এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে।
হামলার পর এক বিবৃতিতে ইউএস ক্যাপিটল হিস্ট্রি সোসাইটি বলেছে, মার্কিন ক্যাপিটল শুধু একটি ভবন নয়, এটি মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতিমূর্তি। আমাদের সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্রের মৌলিক স্মারক হলো এখানে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
এসআই