আর কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। এ উপলক্ষে অভূতপূর্ব নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি।
৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের সশস্ত্র হামলার পর অতিরিক্ত সতর্কতা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ থেকে খোদ নিরাপত্তারক্ষীদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তাদেরও তল্লাশি করা হচ্ছে। প্রত্যেকের অতীত রেকর্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, সম্প্রতি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোথাও তারা কোনও চরমপন্থি মন্তব্য করেছেন কি না। এ পরীক্ষা চালিয়ে ইতোমধ্যে ১২ নিরাপত্তারক্ষীকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিজনেস ইনসাইডার জানায়, মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, ১২ জন ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ডকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এর মধ্যে একজনের সঙ্গে চরমপন্থি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। আরেকজন সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চরমপন্থি মন্তব্য করেছেন। বাকি ১০ জনের সঙ্গেও বিভিন্নভাবে চরমপন্থিদের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের সবাইকে ওয়াশিংটন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বুধবারের (২০ জানুয়ারি) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য শুধু ওয়াশিংটনেই ২৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যেকের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই সহিংসতা ছড়াতে পারে। ফলে সামান্য সন্দেহ হলেও নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে গোটা দেশেই ট্রাম্পপন্থিরা সহিংস বিক্ষোভ দেখাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ওয়াশিংটনে এখনও কারফিউ জারি রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সড়কে কংক্রিটের গার্ড ওয়াল রাখা হয়েছে। ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা গোটা শহরে ফ্ল্যাগ মার্চ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
এফএম