যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় সেনাবাহিনীর কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক সদস্যদের নাম উঠে এসেছে। এমনই প্রেক্ষাপটে বুধবার (২০ নভেম্বর) দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন।
ক্যাপিটল ভবনে হামলার সপ্তাহখানেক পর পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
নির্ভরযোগ্য জরিপ সংস্থা ইউগভ পরিচালিত এই জরিপে ৫৫ শতাংশ নাগরিক জানিয়েছেন, তারা ‘অন্য আরেক আমেরিকান, দেশের অভ্যন্তরীণ শত্রু’ নিয়ে শঙ্কিত।
বেশিরভাগ মার্কিনি মনে করছেন যে, শত্রু কোনো রাষ্ট্র, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি কিংবা পারমাণবিক বোমার থেকেও তার আশেপাশের অন্য মার্কিনিরা বড় হুমকি। আর এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও শঙ্কিত সাধারণ জনগণ।
ক্যাপিটল ভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সেনাবাহিনীতে কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত বেশ কজন সদস্য অংশ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন সিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে একদল ট্রাম্প সমর্থককে রাজধানীর ওয়াশিংটন ডিসিতে নিয়ে আসেন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। রেইনি নামের ওই ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী।
চাপের মুখে ইতোমধ্যে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা সামরিক সদস্যদের প্রতি সতর্কতা জারি করে বিবৃতি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষকরা বলছেন, গত সপ্তাহে ক্যাপিটলে হামলায় নিশ্চিতভাবে বেশ কজন অবসরপ্রাপ্ত এবং চাকরিরত সেনা সদস্যের অংশগ্রহণ স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, সেনা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এমন লোকজন রয়েছে যারা বিশ্বাস করে যে নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিভেদ, সংঘাত এবং নিরাপত্তাহীনতা যে বিপজ্জনক চেহারা নিয়েছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ এখন আর নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
এস এইচ এস/এইচএডি