মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি দেওয়ার চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে চীন।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি এ তথ্য জানায়।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং অং সান সু চি-সহ অন্য রাজনীতিক নেতা ও কয়েকশ’ আইনপ্রণেতাকে আটক করে। এরপর অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা এরপর একটি সুপ্রিম কাউন্সিলও গঠন করেছে।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসলেও চীনের সমর্থন না থাকায় অভ্যুত্থানের নিন্দা করে কোনো বিবৃতি দিতে পারেনি। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের একজন হওয়ায় যে কোনো বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে চীনের সমর্থন প্রয়োজন হয়।
এ বৈঠকের আগে নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল না মেনে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের তীব্র নিন্দা জানান জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রানার।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্তেফানে দুজারিচ বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছেন, যাদের মধ্যে মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা সেখানে বন্দিশিবিরে রয়েছেন। এসব রোহিঙ্গা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন না এবং মৌলিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসেবা থেকেও তারা বঞ্চিত। ’
তিনি বলেন, ‘তাই আমরা আশঙ্কা করছি, বর্তমান ঘটনা তাদের পরিস্থিতি আরও সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে। ’
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে, এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলতে থাকায় এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে বলে জানায় বিবিসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
এফএম