পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারপার্সন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি আউরাত (নারী) মার্চের আয়োজকদের লক্ষ্য করে ব্লাসফেমি আইনের অপব্যবহারকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
২০১৮ সালে শুরু হওয়া আউরাত মার্চ প্রতিবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের ওপর অত্যাচারের বিষয়টি তুলে ধরে।
জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী নারী, ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায় এবং অবাইনারি ব্যক্তিদের প্রতি ঘৃণা, সহিংসতার হুমকি এবং ভীতি প্রদর্শনের পর আউরাত মার্চের করাচি অধ্যায়ের আয়োজকদের সাথে এক বৈঠকে বিলাওয়াল ওই সমালোচনা করেন।
২০২১ সালের মার্চ মাসে আউরাত মার্চের পর পরই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি এবং ভিডিও নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করে, যেখানে আয়োজকরা বলেন, সাবটাইটেলগুলো সম্পাদনা করা হয়েছে যা তাদের স্লোগানে বিভিন্ন শব্দের ভুল ব্যাখ্যা করেছে।
বিলাওয়াল বলেন, র্যালি চলার সময় নারীদের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর ‘যারা তাদের ক্ষমতা অস্বীকার করে তাদের চ্যালেঞ্জ করেছে’।
তিনি বলেন, নারী মিছিলকারীদের লক্ষ্য করে ব্লাসফেমি আইনের অপব্যবহার দুঃখজনক।
এই মিছিলের আয়োজকরা পাকিস্তানি নারীদের হতাশা এবং সমস্যার কথা তুলে ধরেন বলে তিনি খুশি।
বিলাওয়াল তাদের জন্য সিন্ধু সরকারের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।
করোনা মহামারির কারণে এ বছর মার্চের প্রস্তুতি সংক্ষিপ্ত করা হয়। এর আগে ২০২০ সালের মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ওপর পাথর ছোঁড়া হয় এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য মতে, পাকিস্তান জুড়ে ২০২০ সালের জানুয়ারি-মার্চ থেকে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মার্চের পর মহামারির সময় আরো খারাপ হয়েছে।
রিপোর্ট অনুসারে, পাকিস্তানের কারাগার আইন আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেনি এবং কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে নারী, বন্দীদের রক্ষা করার জন্য আইন উপেক্ষা করে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, যেসব শিশু তাদের মায়েদের সাথে কারাগারে থাকে, তারা দুর্বল পুষ্টি এবং শিক্ষার অভাবের অতিরিক্ত ঝুঁকির মুখে আছে। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
নিউজ ডেস্ক