যুক্তরাজ্যের ৯ ব্যক্তি ও চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় চীনের সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, চীনের জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইগুর মুসলমানরা যে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কথা বলার স্বাধীনতা থাকাটা অপরিহার্য।
এক টুইট বার্তায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, চীনে উইগুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে কথা বলে এ দেশের সাংসদ এবং ব্রিটিশ নাগরিকরা চীনা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলাটা দরকার এবং আমি দৃঢ়ভাবে তাদের (নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া ব্রিটিশদের) পাশে আছি।
জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে চীনের ওপর লন্ডন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্রিটেনের ৯ নাগরিক এবং চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেইজিং। সেই ঘটনার পর নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তীব্র নিন্দা জানাতে, বিরোধিতা করতে এবং কড়া বক্তব্য দেওয়ার জন্য চীনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চীনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ... ব্রিটেনের ৯ জন ব্যক্তি এবং চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যাপারে; তারা বিশ্রীভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়াচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আরো জানানো হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেই সঙ্গে ওইসব ব্যক্তির সঙ্গে চীনা নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য নিষিদ্ধ থাকবে। সূত্র: দ্য জেনেভা ডেইলি
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
নিউজ ডেস্ক