পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির একটি মানবাধিকার সংগঠন। গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন কতটা অবরুদ্ধ এবং তাদেরকে কীভাবে ‘অ-নাগরিক’ হিসাবে গণ্য করা হয় তা তুলে ধরা হয়েছে।
দেশটিতে তাদের বাক স্বাধীনতা এবং কোনো আইনগত সুরক্ষার অধিকারও নেই বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত অবরোধের মধ্যে জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়। সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিকের সমান অধিকার থাকলেও তা কেবল কাগজে কলমে। হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, আহমদি এমনকি শিয়ারাও দেশটিতে অ-নাগরিক হিসাবে বিবেচিত হয়। তাদের কথা বলার অধিকার নেই। আইনের সুরক্ষার অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত।
গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ ও মানবাধিকার কেন্দ্র (সিডিপিএইচআর) নামের ওই সংস্থার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আইন অন্য ধর্মের লোকদের শোষণ ও পরাধীন করার বড় একটি সরঞ্জামের মতো কাজ করে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, যদিও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) এর মতো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির স্বাক্ষরকারী, তবে, যে পরিবেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা নিজেকে ঘৃণামূলক বক্তব্য, সহিংসতা এবং পুনরাবৃত্তি দ্বারা চিহ্নিত করে তুলেছে নিন্দা আইন কানুন।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বালুচ, পশতুন এবং সিন্ধিদের মতো কিছু জাতিগত সংখ্যালঘুরা পাঞ্জাব অধ্যুষিত সামরিক ও আমলাতন্ত্র দ্বারা নির্যাতিত হয়। বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলন এখানকার পাঞ্জাবি অধ্যুষিত সামরিক বাহিনীর দ্বারা সহিংসভাবে দমন করা হয়েছে। জাতিগত সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে জোরপূর্বক অপহরণ, ধর্ষণ, বলপূর্বক নিখোঁজ হওয়া এবং সামরিক বাহিনীর দ্বারা আটককৃতদের বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড প্রায়ই ঘটে থাকে এখানে। সূত্র: ডেইলি শিখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২১
নিউজ ডেস্ক