সেনাবাহিনীর সমালোচনা নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে একটি আইন করতে যাচ্ছে দেশটি।
আইনের সমালোচকরা এটিকে দেশের ভিন্নমতকে চুপ করানোর সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
তবে ইমরান খান সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এই আইনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করে বলেছেন, সমালোচনাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা একেবারে হাস্যকর ধারণা। সম্মান অর্জন করতে হয়, জোর করে আদায় করা যায় না।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে এ আইনের সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং বিরোধী দলের নেতারা।
কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বড় আকারের অসন্তোষের মুখে আছে পাক সরকার। সে কারণে বিরোধী দলগুলোকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে সরকার এ আইন করতে যাচ্ছে।
রাজনীতি বিশেষজ্ঞ এবং ‘মিলিটারি ইনকর্পোরেটেড: ইনসাইড পাকিস্তানের সামরিক অর্থনীতি’ এর লেখক আয়েশা সিদ্দিকা বলেছেন, সেনাবাহিনীর সমালোচনা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা একটি অশুভ ব্যাপার।
সিদ্দিকা বিশ্বাস করেন যে সেনাবাহিনীর সমালোচনা বন্ধ করার পদক্ষেপের মাধ্যমে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকলেও সামরিক নেতৃত্বও আইনটিকে সমর্থন করছে।
কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে বিলটি ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকারের সামরিক বাহিনীর সমর্থন সংগ্রহকরার একটি প্রচেষ্টা।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা আগা রাফিউল্লাহ এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নাওয়াজের নেতা মারিয়ুম আওরঙ্গজেব ও নাদিম আব্বাস রেবাইরা এই আইনের বিরোধিতা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২১
নিউজ ডেস্ক