নগদ সংকটে থাকা পাকিস্তান সরকার মাসিক পেনশনের ওপর আয়কর আরোপের কথা বিবেচনা করছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর আইন পুনর্বিবেচনার চাপের কারণে এমন বিষয় ভাবা হচ্ছে।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, আইএমএফের সাথে বৈঠকের আগে কর প্রস্তাবের ফাইন টিউনিং করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সরকারের বাজেট প্রস্তাব যাচাই শুরু করা হবে।
একটি প্রস্তাব হলো, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, বিচারক এবং জেনারেলদের আয়করমুক্ত পেনশনের একটি সীমা স্থাপন করা।
তারা আরও বলেছে, রাজস্ব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. ওয়াকার মাসুদ চেয়েছিলেন যে পেনশনের বার্ষিক করযোগ্য সীমা প্রতি মাসে ৫ মিলিয়ন টাকা বা ৪১৬,০০০ টাকা নির্ধারণ করা উচিত, সমস্ত অবসরপ্রাপ্ত গ্রেড ২২ আমলাদের বাদ দিয়ে। তিনি পেনশনভোগীদের ওপর ১০ শতাংশ করের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন।
২০১৯-২০ সালের কর ব্যয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা গেছে, করমুক্ত পেনশনের কারণে পাকিস্তানের ফেডারেল সরকার প্রায় ২১ বিলিয়ন রুপি লোকসান করেছে।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, কর ক্ষতির বার্ষিক ব্যয় প্রায় ১.৪ ট্রিলিয়ন রুপিতে পৌঁছেছে।
আইএমএফ মার্চ মাসে পাকিস্তানের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, এ কারণে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ১.২ শতাংশ বা ৫৭০ বিলিয়ন রুপির সমান অতিরিক্ত কর ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে অর্থমন্ত্রী শওকত তারিন এই পরিকল্পনা নিয়ে আপত্তি দেখিয়েছেন।
কর কর্তৃপক্ষ আরও প্রস্তাব করেছে, বিচার বিভাগ যে বাড়ি ভাড়া গ্রহণ করছে তা বাজেটে কর ধার্য করা উচিত, যার লক্ষ্য কর আইনের বৈষম্য দূর করা। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বারবার প্রস্তাবগুলো নাকচ করেছে।
গত মাসে পাকিস্তানের ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ (এফবিআর) আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে বিচারিক ভাতা আয়কর থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে, বিচারিক ভাতা এবং বিশেষ বিচারিক ভাতা কেবল উচ্চতর বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেই নয়, অধস্তন বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
২০২০ সালের জুলাই মাসে সিন্ধ হাইকোর্ট (এসএইচসি) বলেছিল, বিশেষ বিচারিক ভাতা বেতনের পরিধির মধ্যে পড়বে না, ফলে এ থেকে আয়কর নেওয়া যাবে না। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২১
নিউজ ডেস্ক