চীন সরকারের নিপীড়নের মুখে মুসলিম উইগুর পরিবারগুলো জিনজিয়াং থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিচ্ছে। বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন চাপের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
চীন এই উইগুরদের ফেরত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা।
চীনের ধারণা, পালিয়ে আসা উইগুররা পূর্ব তুর্কিস্তান স্বাধীন আন্দোলনে (ইটিআইএম) যোগ দিতে পারে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় সূত্র এশিয়া টাইমসকে জানিয়েছে, সম্প্রতি দুই হাজারের বেশি উইগুর পরিবার পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে, যাদের বেশিরভাগই চীনের রাষ্ট্রীয় দমন পীড়নের শিকার।
চীন ১০ লাখের বেশি উইগুরকে তথাকথিত ‘বৃত্তিমূলক’ শিবিরে রেখে নির্যাতন করছে বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া উইগুর নারীদের ধর্ষণ, গর্ভপাত, জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণসহ নানা অভিযোগ চীনের বিরুদ্ধে।
উইগুরদের ওপর চীনের আচরণ নিয়ে সরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ। উইগুরদের ওপর চীনের নির্যাতনকে গণহত্যার স্বীকৃতিও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশের আগে পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ১৯৫০ সাল থেকে প্রায় ২,০০০ উইগুর পরিবার পাকিস্তানে বসবাস করছে, যাদের বেশিরভাগই মধ্য পাঞ্জাব এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে ব্যবসা চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে একজন ঊর্ধ্বতন অভিবাসন কর্মকর্তা এশিয়া টাইমসকে বলেছেন, বেইজিংয়ের চাপের মুখে উইগুর শরণার্থীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান উইগুর অভিবাসীদের নাগরিক মর্যাদা দিয়েছে যাদের পূর্বপুরুষরা ৬০ এবং ৭০ এর দশকের শেষের দিকে পাকিস্তানে এসেছিলেন। তারা এখন আন্তঃবিবাহের মাধ্যমে পাকিস্তানি সমাজে পুরোপুরি একীভূত, সাবলীল উর্দুতে কথা বলে এবং ঐতিহ্যবাহী পাকিস্তানি পোশাক পরে।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ জিনজিয়াং থেকে চীনা টাইলস, সিরামিক, সিল্ক এবং টেক্সটাইল পণ্য আমদানি করে, তাদের মূল ভূখণ্ডেবাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত সংযোগ দেয়।
চীনের চাপ ও পাকিস্তানের উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া উইগুররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক