অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে এইউকেইউএস নামের পারমাণবিক সাবমেরিন চুক্তিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে মনে করছে উত্তর কোরিয়া। গত সপ্তাহে চুক্তিটি হওয়ার পর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ মন্তব্য করেন।
এই চুক্তিকে বিপজ্জনক উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, চুক্তিটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করবে এবং পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার শৃঙ্খলা নষ্ট করবে। এর ফলে ‘পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা’ শুরু করতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের মালিক হওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে এইউকেইউএস চুক্তি। এটা হলে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের সপ্তম দেশ হিসেবে এই সাবমেরিনের মালিক হবে। এই চুক্তির আওতায় মিত্ররা সাইবার সক্ষমতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং গভীর সমুদ্রে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
এইউকেইউএস চুক্তির কারণে তিন বন্ধু দেশের সঙ্গে এখন সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না ফ্রান্সের। এই চুক্তির জেরে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একটি সামরিক সংলাপ বাতিল করেছেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ফ্রান্সের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার চুক্তিটি বাতিলের বিষয়টিকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাঁ-ইভ লে দ্রিয়াঁ। এটিকে ‘মিত্র ও অংশীদারদের মধ্যে অগ্রহণযোগ্য আচরণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এমন পদক্ষেপের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ওয়াশিংটন ও ক্যানবেরায় থাকা তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন।
যদিও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, জোট নিয়ে ফ্রান্সের ‘চিন্তিত’ হওয়ার কিছু নেই। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে একটি ‘অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব মোকাবিলার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে এইউকেইউএস চুক্তিকে। এই চুক্তির কারণে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে করা অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। যার আওতায় ৩৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ১২টি প্রচলিত সাবমেরিন তৈরি করার কথা ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
জেএইচটি