উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ার জামফারা রাজ্যের গ্রামগুলোতে সশস্ত্র ডাকাতদের গুলিতে কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি বিমান হামলা চালিয়ে ওই সশস্ত্র ডাকাত দলের দুই নেতাসহ তাদের শতাধিক সদস্যকে হত্যা করা হয়।
সামরিক বাহিনী গণসমাধির আয়োজন করার পর শনিবার বাসিন্দারা গ্রামে ফিরে আসেন। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, হামলার সময় ৫৮ জন নিহত হয়েছেন।
হামলার সময় স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হারানো এক বাসিন্দা উম্মারু মেকারি বলেন, প্রায় ১৫৪ জনকে সমাধিস্থ করা হয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রহরীও রয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মোট মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০০।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের একজন কমিউনিটি নেতা বালারাবে আলহাজি বলেন, আমরা এই হামলায় ডাকাতদের হাতে নিহত মোট ১৪৩ জনকে কবর দিয়েছি।
কুরফা দানিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাবান্দি হামিদু বলেন, ডাকাতরা চোখের সামনে যাকে দেখেছে তাকেই গুলি করেছে।
হামিদু বলেন, ১০টি গ্রামের ১৪০ জনেরও বেশি লোককে সমাধিস্থ করা হয়েছে এবং আরও লাশের সন্ধান চলছে। কারণ অনেকে এখনও নিখোঁজ।
শুক্রবার জানা গেছে, দেশের উত্তরে সন্দেহভাজন ‘ডাকাত’ জঙ্গিরা ১০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে মোটরবাইকে করে বন্দুকধারীরা নয়টি গ্রামের মধ্যে বিপুল সংখ্যায় এসে পৌঁছায়, বাসিন্দাদের ওপর গুলি চালায় এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সোমবার ভোরে জামফারা রাজ্যের গুসামি বন ও পশ্চিম তাসামরে গ্রামের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে তাদের দুই নেতাসহ ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে।
আবুজাভিত্তিক বিকন কনসাল্টিং নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বিশ্লেষক কবির আদমু এএফপিকে বলেছেন, এই সপ্তাহের অভিযান সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় হতে পারে।
উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় এ ধরনের বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালের শেষের দিকে সরকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য লড়াই করার সময় গণঅপহরণ এবং অন্যান্য সহিংস অপরাধের ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার কাজ করছে।
বুধবার নাইজেরিয়ার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকাতদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে, দোষী সাব্যস্ত বন্দুকধারী, তাদের তথ্যদাতা এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২২
নিউজ ডেস্ক