বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে গড়ে ওঠা প্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছেওমিক্রনের।
তবে আশার কথা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে টিকা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা বলেন, ওমিক্রনকে মাথায় রেখে টিকা তৈরির কাজ চলছে। এ টিকা আগামী মার্চে প্রস্তুত হবে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকারের এ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে। ফলে, টিকা তৈরির কাজ চলছে।
যারা এর আগে টিকা নিয়েছেন, তারাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে টিকা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফাইজার।
এ প্রসঙ্গে সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলবার্ট বোরলা বলেন, টিকা প্রস্তুত হয়ে যাবে আগামী মার্চে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না এই টিকা লাগবে কি না। আমি ঠিক জানি না এই টিকা কীভাবে কাজে লাগবে। ’
টিকার কার্যকারিতা নিয়েও কথা বলেছেন আলবার্ট। তিনি বলেন, এখন বিদ্যমান টিকার দুই ডোজ ও বুস্টার ডোজ ওমিক্রনে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে ভালো সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ইতিমধ্যে ১০০টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে। বাংলাদেশেরও অন্তত ৩০ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
এসআইএস