ভারতের একাধিক কলেজে ছাত্রীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরায় প্রতিবাদ জানিছে কয়েকটি হিন্দু সংগঠন। তারা শ্রেণি কক্ষে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার বিরোধিতা করে এবং স্থানীয় ছাত্রদের গেরুয়া স্কার্ফ পরার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা ‘চাপে পড়ে’ ভারতের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন মুসলিম শিক্ষার্থীরা।
ভারতের কর্ণাটকের উডুপি গভর্নমেন্ট স্পন্সরড কলেজে ২০২১ সালের ২৮ জিসেম্বর হিজাব পরা নিয়ে প্রথম ঝামেলা শুরু হয়। এরপর থেকে সেই জেলার মোট পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হিজাব পরায় উডুপি জেলার একটি কলেজে ছয় মুসলিম ছাত্রীকে ঢুকতে না দেওয়ায় এই সংকটের শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে মামলা গড়িয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট পর্যন্ত। এবার উডুপি জেলার আরও কয়েকটি কলেজ মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কলেজ গেটের সামনে প্রতিবাদ শুরু করেন মুসলিম ছাত্রীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন মুসলিম ছাত্ররাও।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে উডুপি জেলায় ক্রমেই সাম্প্রদায়িক রেষারেষি বাড়ছে। শুক্রবার প্রথমবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে ভারতের নারী কল্যাণ ও সমাজ কর্মীদের একাংশ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানায়, হিজাব নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপটি সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় প্রতীক প্রদর্শন করা যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
জেএইচটি