ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

সেই রাজিয়ার ছেলে ইউক্রেনের বাংকারে আটকা 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২২
সেই রাজিয়ার ছেলে ইউক্রেনের বাংকারে আটকা 

করোনা মহামারির মধ্যে অভূতপূর্ব ঘটনার জেরে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন ভারতের তেলাঙ্গানার নিজামাবাদের শিক্ষিকা রাজিয়া বেগম।  

২০২০ সালে যখন লকডাউনে স্তব্ধ ছিল গোটা ভারত, তখন ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার স্কুটি চালিয়ে রাজিয়া বেগম নেল্লোর থেকে ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে এনেছিলেন।

 

সেই রাজিয়ার ছেলে নিজামুদ্দিন আমান এখন ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে এবার ছেলের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় দিন-রাত চোখের পাতা এক করতে পারছেন না তিনি।  

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলাঙ্গানার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা রাজিয়া। একক অভিভাবক হিসেবে তিনি বড় করেছেন সন্তানকে। এরপর ১৯ বছরের সন্তান নিজামুদ্দিন যান ইউক্রেনে। সেখানে এমবিবিএস পড়ছেন তিনি। তবে আচমকা যুদ্ধের দামামা, ঘুম কেড়ে নিয়েছে রাজিয়ার।  

লকডাউনে স্কুটির ওপর নির্ভর করে মনের জোরে তিনি ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে আনেন। তবে এবার অনেক দূরে আটকে পড়েছেন তার ছেলে। তাই ছেলেকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন রাজিয়া। কড়া নেরেছেন রাজ্যর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরেও।  

ইউরোপীয় দেশটির সুমি স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন নিজাম। রাজিয়া জানতে পেরেছেন, যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের বাংকারে আশ্রয় নিয়ে ফোনে মায়ের কাছে নিজের অবস্থার কথা জানিয়েছেন নিজাম। এরপর থেকেই উদ্বেগে রয়েছেন রাজিয়া। যদিও বাংকার থেকে নিজামুদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি সুস্থ রয়েছেন, চিন্তার কিছু নেই।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রুশ সেনারা। রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে শনিবার (৫ মার্চ) দশম দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ মানুষ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।