সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে জরুরি ক্ষমতা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর ফলে তারা ওয়ারেন্ট ছাড়াই নাগরিকদের গ্রেপ্তার করতে পারবে।
তুমুল বিক্ষেভের মুখে প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের পদত্যাগের একদিন পর তাদের এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
জনরোষের মুখে রাজাপক্ষে তার পরিবার নিয়ে রাজধানী কলম্বো ছেড়ে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিঙ্কোমালি শহরের একটি নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন। বুধবার (১০ মে) সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারকে হেলিকপ্টারে করে নৌঘাঁটিতে নেওয়া হয়। তবে কলম্বো থেকে প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দূরে নৌঘাঁটির বাইরেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে দেশটিতে এক দিনের সহিংসতায় ক্ষমতাসীন দলের এক এমপিসহ কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্রটি ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। জ্বালানি, খাদ্য এবং ওষুধের ঘাটতি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হাজার হাজার মানুষকে রাস্তায় নিয়ে আসে, যা এই সপ্তাহ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ছিল।
সোমবার গভীর রাতে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদদের ওপর হামলা চালায়, তাদের বাড়িঘর, দোকান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পুলিশের মুখপাত্র নিহাল থালদুওয়া বলেন, সোমবার প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার কলম্বো থেকে এক প্রতিবেদনে আল জাজিরার মিনেল ফার্নান্দেজ বলেন, সেখানে সামরিক বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। রাস্তায় সামরিক বাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে।
এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী সন্দেহভাজন যে কাউকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের আগে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত আটক রাখতে পারবে। আর যে কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি সেনাবাহিনী অনুসন্ধান করতে পারবে।
তবে এই ক্ষমতার অপব্যবহারের আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
কলম্বোর সেন্টার ফর পলিসি অল্টারনেটিভস থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের ভবানী ফনসেকা বলেন, এমন একটি পরিস্থিতিতে যেখানে জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ উভয়ই রয়েছে, এর মধ্যে ওই ক্ষমতার অপব্যবহার যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য কে নজরদারি করতে পারে?
সূত্র: আলজাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
নিউজ ডেস্ক