রুশ আগ্রাসন থেকে বাঁচতে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে এরই মধ্যে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। এই দেশ দুটি ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে কিনা এ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশ যদি ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় তবে জোটের ৩০টি সদস্য দেশকে একমত হতে হবে। প্রতিটি সদস্য দেশের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে একমত নন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
আঙ্কারায় সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, যে দেশগুলো তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেসব দেশকে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে সমর্থন দেবে না তুরস্ক।
এরদোগান আরও বলেছেন, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এ দুটি দেশ তুরস্কের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকে-কে সমর্থন জোগায়।
এদিকে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে তীব্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাশিয়া। মস্কোর পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিলে ‘বড় ভুল’ করবে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
ইআর