মিয়ানমারের জান্তা বিরোধী ছায়া সরকার (এনইউজি) তাদের নিজস্ব পুলিশ বাহিনী গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এনইউজির বিবৃতিতে বলা হয়- মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘সন্ত্রাসী সামরিক কাউন্সিলের’ বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াই এই বাহিনীর উদ্দেশ্য। অবশ্য কবে নাগাদ এবং কীভাবে এই পুলিশ বাহিনী গঠন করা হবে, তা এখনও পরিষ্কার করেনি এনইউজি। এর সদস্য সংখ্যা নিয়েও কিছু জানানো হয়নি বিবৃতিতে।
তবে গত বছর এনইউজির পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’ বা পিডিএফ গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, জান্তা সরকারের সেনারা উত্তরাঞ্চলে পিডিএফ সদস্যদের দমনে অভিযান চালিয়েছেন, অনেক স্থানে করেছেন অগ্নিসংযোগ। বেশ কিছু দেশ ছায়া সরকারকে সমর্থন দিলেও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিকদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছিল এনইউজি। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধকে ‘জনগণের প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল তারা। এমনকি তহবিল সংগ্রহে ২০২১ সাল থেকে নানাবিধ প্রচারণা শুরু করে এনইউজি। এর মধ্যে ট্যাক্স বয়কট, বিদেশি বন্ড ইস্যু থেকে শুরু করে উপহাসপূর্বক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং-এর প্রাসাদের বিক্রির মতো নজির ছিল।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে অশান্তিতে রয়েছে দেশটি। জাতিসংঘের তথ্যমতে, মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকে যুদ্ধ ও অস্থিতিশীলতায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৭ লাখ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২২
এনএসআর